সুশান্ত সিং রাজপুত মামলার তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিলে কোনও আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন রিয়া চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টে লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন তিনি। তবে রিয়ার আইনজীবী দাবি করছেন, উক্ত মামলায় বিহার পুলিশের ‘নাক গলানো’ একেবারেই বেআইনি।
সিবিআই তদন্তের জন্য বিহার সরকারের পক্ষ থেকে গত সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে একটি আবেদন জানানো হয়েছিলো। নীতিশ কুমার সরকারের সেই আবেদন অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবীরা দেশের শীর্ষ আদালতের কাছে এই সুপারিশ জানায়।
অন্যদিকে, সুশান্তের বাবার দায়ের করা মামলা পাটনা থেকে মুম্বাইতে নিয়ে আসার জন্য রিয়া চক্রবর্তী সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন করেছিলেন। ১১ আগস্ট সেই মামলার শুনানি থাকলেও রায় স্থগিত রাখে দেশের শীর্ষ আদালত। বৃহস্পতিবার প্রত্যেক পক্ষকেই রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলো। নির্দেশ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার প্রত্যেকেই লিখিত রিপোর্ট জমা দিয়েছিলো।
রিপোর্টে সুশান্তের বাবা কৃষ্ণকুমার সিং সুপ্রিম কোর্টকে লিখিতভাবে জানান যে মুম্বাই পুলিশের উপর তাদের কোন ভরসা নেই। এবং তিনি আবেদন জানান খুব দ্রুতই যেন CBI-কে তদন্ত শুরু করার অনুমতি দেওয়া হয়। অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টকে বিহার পুলিশও লিখিত জবাব দিয়েছে।
বিহার সরকারের আইনজীবীরা বলেন, পুলিশ ‘আধিকারিক বিনয় তিওয়ারিকে’ তদন্তের জন্য গত ২ আগস্ট মুম্বাইতে পাঠানো হয়। তবে কোয়ারেন্টাইনের নামে তাকে বাধা দিয়ে কাজ করতে দেওয়া হয়নি। এমনকি বিহার থেকে যে ৪ জনের একটি পুলিশের টিম গিয়েছিল, তাদেরও তদন্তে বাধা দেওয়া হয়। তাই, এবার সিবিআই-কে সুশান্ত মামলার তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেওয়াই উচিত বলেই মনে করেন আইনজীবীরা।
প্রসঙ্গত, সুশান্ত মৃত্যুর তদন্ত নিয়ে এ পর্যন্ত বিহার পুলিশ এবং মুম্বাই পুলিশের মধ্যে একাধিকার কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি হয়েছে। মহারাষ্ট্র ও বিহার-এই দুই রাজ্য সরকারের মধ্যেও বিরোধ কম হয়নি! তার রেশ ধরেই পালটা মহারাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধেও নকশা তৈরি করেন নীতীশ কুমার সরকার। কারণ, এর আগে মুম্বাই পুলিশ সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছিল, এই মামলার তদন্তের ভার বিহার পুলিশের আওতাধীন নয়। কিন্তু বিহার সরকার পক্ষের আইনজীবী জানান, এই মামলা করার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে বিহার পুলিশের।
বৃহস্পতিবার সুশান্ত এবং রিয়া এই দুপক্ষের আইনজীবীরা মহারাষ্ট্র-বিহার সরকারের কাউন্সিলে মামলা নিয়ে লিখিত রিপোর্ট জমা দিয়েছেন।